Posts

Showing posts from September, 2024

অনর্থক

  চেহারার মতো মানুষের অনুভূতির প্রকাশেভঙ্গিও ভিন্ন ।  সোজা-সাপ্টা কথা বলা রিধি অনূভুতির কথা বলে আড়ালে। যাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো তাকে বিজ্ঞ প্রত্নতাত্ত্বিকের মতো অনূভুতিগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেই রিধি বিশেষ একজনকে ভালোবাসে। যদিও বিশেষ সেই মানুষটাকে কোনো রকম বিশেষণ দিয়ে সে ডাকে না। না, এ তেমন সম্পর্ক নয়। বাইরে থেকে সে মানুষটা অনেকের মধ্যে একজন। স্কুলে যেতে যেতে তাদের কথা হয় । স্কুল থেকে আসতে আসতে তাদের কথা হয়। কথার বিষয়বস্তু সবসময় পড়া কিংবা চারপাশের প্রতিনিয়ত ঘটমান পরিস্থিতির গন্ডির মধ্যে থাকে। তাদের সময় চলে যায় কথা কাটাকাটির মধ্যে। অনিচ্ছাস্বত্তেও রিধি কথার ধারালো ফলায় এই মানুষটাকে ছোট করে ফেলে। মানুষটার মন খারাপ হয়ে যায় । কিছুদিন নিরব সময় কাটে। কোনোদিন আবার তাদের কথা হয়। কাটাকাটি হয়। চক্র চলতে থাকে। মৌসমের রঙ বদলায় । তাদের মনের ভেতরের মৌসমও কি রঙ বদলায়? সেটা জানা হয় না কারো। মুখ দিয়ে কিছু প্রকাশ না পেলেও আচরণে মৌসমের রঙ লাগে। আড়ালে আড়ালে খেলা চলে। লুকোচুরি খেলা। হয়তো আরও অনেক সময় চলতো যদি না ভাগ্য এসে বেয়াড়া ভাবে দাঁড়ি বসিয়ে দিত । সে অনেক কাল আগের কথা । রিধি এখন বাসা থেকে ১...

কনফেশন এবং কনফেকশনারিজ

বিভ্রান্ত হয়ে রাজগঞ্জ বাজার থেকে বের হলাম । বাজারখরচ একটা হয়তো বাদ গেছে । কিন্ত কি নেয়া হয় নাই সেটা মনে আসছে না । লেবু, টমেটো, গাজর, ধনেপাতা, পেয়াজ আর আলু নেয়া হলো । আর কি ছিলো? বাসায় একটা কল করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় । তবে তাড়াহুড়ার মধ্যে মোবাইলটাই আনতে ভুলে গেছি । বুড়ো হয়ে যাচ্ছি ২৪ বছরেই ! ভাবছি বাসায় ফিরে যাবো নাকি আরো কিছুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবো । যদি হঠাৎ মনে হয়ে যায় । এমন সময় দোকানটা চোখে পড়লো । বাজারের গেইটটার পাশে । মনে হয় না দোকানের বয়স এক সপ্তাহ ছাড়িয়েছে । নামটা লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের সাইনে মোটা সাদা ফন্টে লিখা । কনফেকশনারিজ না হয় বুঝলাম। কিন্ত কনফেশন কেন? বড় ধাঁধা লাগলো । মিষ্টি না খেলেও একবার ঢু মারা উচিত । নতুন কিছু দেখলেই জয়গান করতে ইচ্ছে করে । দেখা যাক এ দোকান জয়গানের প্রাপ্য কিনা ।  দরজাটা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই মৃধু ঠান্ডা বাতাস গায়ে এলো । আগের দোকানে এই সুব্যবস্থা ছিল না। ‘কে এবং কে’ ১ নম্বর, সাবেক দোকান ০ । মিষ্টি গন্ধ নাকে এলো ।  ভেতরটা ছিমছাম । খোলামেলা । দুই পাশের দুই দেয়ালে তিনটা করে ছোট ছোট গোল টেবিল চেয়ার পাতা । পেছনের দেয়ালে পাতা আছে একটা । দোকান...

উপায়

অন্যসবসময়ের মতো সেদিন বিকালে রেলস্টেশনে বসে ছিলাম । হাতে আমার নোটখাতা । গত সাত দিন ধরে ভীষণ চেষ্টা করছি কিছু একটা লিখার । গল্প, কবিতা বা রচনা । কিন্তু সেসবের কিছুই মাথায় আসছে না । তার বদলে কাফকার মতো অল্প শব্দের দিনলিপি লিখছি । ৪/০৯/২৪ এ লিখলাম “দেখা হয়ে ভালো হলো”; ছয় তারিখ লিখলাম “আজও একই”; সাত তারিখে, “কেন যাচ্ছি?”; দশে লিখলাম, “ফুল নয়, দীর্ঘশ্বাস” । দিনগুলো বড্ড বেয়াড়াভাবে যাচ্ছে ।  তবে আজকের আকাশ মেঘলা । ফুরফুরে বাতাস দিচ্ছে । স্টেশনে লোকেরা ট্রেন আসার অপেক্ষায় এদিক-সেদিক ঘোরা-ফেরা করছে । কেউবা হেঁটে ক্লান্ত হয়ে এখন ব্যাগ পাশে নিয়ে বিরক্ত হয়ে বসে আছে । লেখা আসার পরিবেশ তৈরী হয়ে আছে । এখন আসলেই হলো । পেছনের থামে হেলান দিয়ে আকাশ এর দিকে তাকালাম । বৃষ্টির সাথে সাথে চিন্তা ধারার বর্ষণ হোক!  এই সব ভাবছি এমন সময়ে আমার গায়ে কারোর ছায়া পড়লো । চোখটা একটু নামিয়ে এনে ছায়ার সুরত দেখলাম। উসকো-খুসকো চুল, চেহারায় অযত্নের ছাপ, ঠোঁটের চামড়া ফাটা। গায়ে হলুদ রঙের বিবর্ণ হাফ-হাতা শার্ট আর প্যান্ট । মনে হলো আমারই সমবয়সী । হয় পাগল নয়তো পাগল হওয়ার টিকিট ইতোমধ্যে কেটে ফেলেছে । সামনে দাঁড়িয়ে মাথা ...

Meet

I will come and meet you. Not with a flower, Not with a fruit. Its not your heart, That I am trying to loot. I will come and meet you, Not to talk,   Or to gawk. Just to look, And stay mute. It is all I can do, to just meet. Take silent pleasure, In your silent greet.