Posts

Showing posts with the label Short story

অনর্থক

  চেহারার মতো মানুষের অনুভূতির প্রকাশেভঙ্গিও ভিন্ন ।  সোজা-সাপ্টা কথা বলা রিধি অনূভুতির কথা বলে আড়ালে। যাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো তাকে বিজ্ঞ প্রত্নতাত্ত্বিকের মতো অনূভুতিগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেই রিধি বিশেষ একজনকে ভালোবাসে। যদিও বিশেষ সেই মানুষটাকে কোনো রকম বিশেষণ দিয়ে সে ডাকে না। না, এ তেমন সম্পর্ক নয়। বাইরে থেকে সে মানুষটা অনেকের মধ্যে একজন। স্কুলে যেতে যেতে তাদের কথা হয় । স্কুল থেকে আসতে আসতে তাদের কথা হয়। কথার বিষয়বস্তু সবসময় পড়া কিংবা চারপাশের প্রতিনিয়ত ঘটমান পরিস্থিতির গন্ডির মধ্যে থাকে। তাদের সময় চলে যায় কথা কাটাকাটির মধ্যে। অনিচ্ছাস্বত্তেও রিধি কথার ধারালো ফলায় এই মানুষটাকে ছোট করে ফেলে। মানুষটার মন খারাপ হয়ে যায় । কিছুদিন নিরব সময় কাটে। কোনোদিন আবার তাদের কথা হয়। কাটাকাটি হয়। চক্র চলতে থাকে। মৌসমের রঙ বদলায় । তাদের মনের ভেতরের মৌসমও কি রঙ বদলায়? সেটা জানা হয় না কারো। মুখ দিয়ে কিছু প্রকাশ না পেলেও আচরণে মৌসমের রঙ লাগে। আড়ালে আড়ালে খেলা চলে। লুকোচুরি খেলা। হয়তো আরও অনেক সময় চলতো যদি না ভাগ্য এসে বেয়াড়া ভাবে দাঁড়ি বসিয়ে দিত । সে অনেক কাল আগের কথা । রিধি এখন বাসা থেকে ১...

কনফেশন এবং কনফেকশনারিজ

বিভ্রান্ত হয়ে রাজগঞ্জ বাজার থেকে বের হলাম । বাজারখরচ একটা হয়তো বাদ গেছে । কিন্ত কি নেয়া হয় নাই সেটা মনে আসছে না । লেবু, টমেটো, গাজর, ধনেপাতা, পেয়াজ আর আলু নেয়া হলো । আর কি ছিলো? বাসায় একটা কল করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় । তবে তাড়াহুড়ার মধ্যে মোবাইলটাই আনতে ভুলে গেছি । বুড়ো হয়ে যাচ্ছি ২৪ বছরেই ! ভাবছি বাসায় ফিরে যাবো নাকি আরো কিছুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবো । যদি হঠাৎ মনে হয়ে যায় । এমন সময় দোকানটা চোখে পড়লো । বাজারের গেইটটার পাশে । মনে হয় না দোকানের বয়স এক সপ্তাহ ছাড়িয়েছে । নামটা লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের সাইনে মোটা সাদা ফন্টে লিখা । কনফেকশনারিজ না হয় বুঝলাম। কিন্ত কনফেশন কেন? বড় ধাঁধা লাগলো । মিষ্টি না খেলেও একবার ঢু মারা উচিত । নতুন কিছু দেখলেই জয়গান করতে ইচ্ছে করে । দেখা যাক এ দোকান জয়গানের প্রাপ্য কিনা ।  দরজাটা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই মৃধু ঠান্ডা বাতাস গায়ে এলো । আগের দোকানে এই সুব্যবস্থা ছিল না। ‘কে এবং কে’ ১ নম্বর, সাবেক দোকান ০ । মিষ্টি গন্ধ নাকে এলো ।  ভেতরটা ছিমছাম । খোলামেলা । দুই পাশের দুই দেয়ালে তিনটা করে ছোট ছোট গোল টেবিল চেয়ার পাতা । পেছনের দেয়ালে পাতা আছে একটা । দোকান...

উপায়

অন্যসবসময়ের মতো সেদিন বিকালে রেলস্টেশনে বসে ছিলাম । হাতে আমার নোটখাতা । গত সাত দিন ধরে ভীষণ চেষ্টা করছি কিছু একটা লিখার । গল্প, কবিতা বা রচনা । কিন্তু সেসবের কিছুই মাথায় আসছে না । তার বদলে কাফকার মতো অল্প শব্দের দিনলিপি লিখছি । ৪/০৯/২৪ এ লিখলাম “দেখা হয়ে ভালো হলো”; ছয় তারিখ লিখলাম “আজও একই”; সাত তারিখে, “কেন যাচ্ছি?”; দশে লিখলাম, “ফুল নয়, দীর্ঘশ্বাস” । দিনগুলো বড্ড বেয়াড়াভাবে যাচ্ছে ।  তবে আজকের আকাশ মেঘলা । ফুরফুরে বাতাস দিচ্ছে । স্টেশনে লোকেরা ট্রেন আসার অপেক্ষায় এদিক-সেদিক ঘোরা-ফেরা করছে । কেউবা হেঁটে ক্লান্ত হয়ে এখন ব্যাগ পাশে নিয়ে বিরক্ত হয়ে বসে আছে । লেখা আসার পরিবেশ তৈরী হয়ে আছে । এখন আসলেই হলো । পেছনের থামে হেলান দিয়ে আকাশ এর দিকে তাকালাম । বৃষ্টির সাথে সাথে চিন্তা ধারার বর্ষণ হোক!  এই সব ভাবছি এমন সময়ে আমার গায়ে কারোর ছায়া পড়লো । চোখটা একটু নামিয়ে এনে ছায়ার সুরত দেখলাম। উসকো-খুসকো চুল, চেহারায় অযত্নের ছাপ, ঠোঁটের চামড়া ফাটা। গায়ে হলুদ রঙের বিবর্ণ হাফ-হাতা শার্ট আর প্যান্ট । মনে হলো আমারই সমবয়সী । হয় পাগল নয়তো পাগল হওয়ার টিকিট ইতোমধ্যে কেটে ফেলেছে । সামনে দাঁড়িয়ে মাথা ...

কিন্টসুগি

Image
দেশের সংস্কার আন্দোলন এ হতাহতের সং্খ্য  নিহত: ১৫০০+  আহত: ৬০০০+ আটক: ১০ হাজার+, ২ লক্ষের অধিক ব্যাক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের ( লিংক ) এই সং্খ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে...  (প্রথম খসড়া) ৩০ এবং ৩১/০৭/২০২৪ জাপানে একটা রেওয়াজ আছে । তাঁরা ভেঙ্গে যাওয়া মাটির কিংবা সিরামিকের তৈরি আসবাবপত্র ফেলে দেয় না । খুব যত্ন করে এক এক টুকরা করে সোনালি রং এর বিশেষ আঠা দিয়ে জোড়া লাগায়। জোড়া দেয়ার পর সেই বস্তুর শরীর এ আকাবাকা সোনালী রেখা বেমানান লাগে না । ফ্রাংক্যানস্টাইনের দানবের মতো দেখতে কুৎসিত লাগে না । এই ভাঙ্গা কে গড়ে নেওয়া  শিল্পের তাঁরা নাম দিয়েছে কিন্টসুগি।  * পুলিশ কনস্টেবল হারুন এর মাথায় একটাই শব্দ বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে । গ্যাঞ্জাম । গ্যাঞ্জাম । গ্যাঞ্জাম । কখন কার মুখ থেকে তাঁর কানে এসেছে তিনি বলতে পারেন না । কিন্তু শব্দটা তাঁর সামনে থাকা ছেলে মেয়েদের মুখের স্লোগান এর মতো বার বার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে । তিনি চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলেন উপরের দিকে । মাথার হেলমেটটা খুলে দীর্ঘ নিশ্বাস নিলেন । এখন সকাল এগারোটা । জুলাইয়ের সূর্যের তীক্ষ্ণরশ্মি গায়ে এসে পড়ে । গরমে শরীর সীদ্ধ হয়ে যা...

নতুন মানব

  একদা এক মানুষ ছিলো । অপূর্ণ । নিকৃষ্ট ।  পৃথিবীতে আসলে পরিচয় একটা মেলে । তারও আছে । তবে আমরা তাকে সে পরিচয়ে জানবোনা। তাঁর অধিকার নেই । তাকে আমরা ডাকবো একটা মানুষ বলে । এখন এই মানুষটা জীবনের অর্ধেক কাটিয়ে দিয়েছে কোনো অর্জন ছাড়া ।  জীবন নামের এই দৌড় প্রতিযোগিতায় সেও যে একজন প্রতিযোগী তা তাঁর বুঝতে সময় লেগেছে বহুবছর । এই অবুঝ সময়টায় তাঁর কেটেছে খেলায় । ভালোবাসা নামক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জীবাণু কারোর জন্যে আশির্বাদ নিয়ে আনে । তেমনটা আমাদের এই মানুষটার সাথে হয় নি । হওয়ার কথা না । নিকৃষ্ট মানুষকে তাঁর প্রতিবেশী মানুষ যেমন পছন্দ করে না তেমনি জীবনও করে না । তাই ভালোবাসা তাঁর ক্ষুদ্র জীবনে হয়ে এলো ব্যাধি হয়ে । এক প্রাণঘাতি ব্যাধি । মানুষটা শুরুতে বুঝতে না পারলেও আঁচ করতে পেরেছিল । তবু নিজের মনে আসতে দিলো অদ্ভুত, অজানা আর পরম তৃপ্তির এই অনুভূতিকে । দিন গড়িয়ে সপ্তাহ এলো । অনুভূতি তাকে জানিয়ে দিলো কিছু একটা ঠিক নেই । কিন্তু কি সেটা সে নির্দিষ্ট করে বলতে পারলো না । এই অনিশ্চয়তায় আরও খানিক সপ্তাহ কাটলো । আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা দূর করেছে । ভেতরের আরেক আমি ব...

Montage

Image
1. Who knew you could fall in love even when your body has been run over by a tire of a 600-ton truck? 2. After the impact, people were gathering around. Appalled. Shocked. Pointing smartphones at me. Snapping pictures. Shooting videos. then, I saw her . Standing amid a crowd. Looking at me. With genuine sadness. Her white salwar kameez and the sunlight's reflection made her look like an angel. Maybe she was. I stared into her eyes. Such deep dark eyes. 3. And then I blinked. 4. Everything went sepia. Visuals mixed like liquid. Suddenly I was a month-old baby. In my mother's arms. Sucking her breast. 5 I blinked. 6 I am now a 4-year-old toddler. I am standing outside. Peeing on a flower. I can hear my mother making "Shhhh..." to help me pee. I can hear crickets songs. I see a blue sky, a White Moonlight. I can feel the Cold breeze. 7. I blinked. 8. I am now a 7 year old boy. It's a golden ray-soaked afternoon. I am in the middle of a run. I looked around....